জলবায়ুর নিরাপত্তা ঝুঁকির সতর্কবাণী ওবামার

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বৈশ্বিক উষ্ণতা নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ঝুঁকির সৃষ্টি করছে বলে সতর্কবাণী করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণে একটি বৈশ্বিক জলবায়ু চুক্তি করতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন আলোচকরা।
জলবায়ু প্রশ্নে রাজনৈতিক লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে সোমবার প্যারিসের উপকণ্ঠে ১৫০ টি’রও বেশি দেশের প্রধানরা জড়ো হয়েছেন। অনেকে চলমান সম্মেলনকে জলবায়ু দুর্যোগ এড়ানোর শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ১১ দিন ধরে এ আলোচনা চলবে।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ঐতিহাসিক এ সম্মেলনে যোগদানের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে মানুষ প্রয়োজনীয় কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে বলে বিশ্বাস তার। তবে তিনি সতর্ক করেছেন, তাপমাত্রা কমানো না গেলে অদূর ভবিষ্যতে ভয়াবহ বিপদ হতে পারে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ হল যুক্তরাষ্ট্র।
ওবামা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উদ্ভূত অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা ঝুঁকি এখন সামাল দিতে হবে।
বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমাতে কোন দেশ কী করবে, কে কত কার্বন নিঃসরণ কমাবে, কোন ধনী দেশ পরিবেশবান্ধব জলবায়ু তহবিলে কত অর্থ দেবে, তা নিয়ে প্যারিসে চলছে দর-কষাকষি আর চুলচেরা বিশ্লেষণ। কার্বন নিঃসরণ কমাতে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে প্যারিসে রাষ্ট্রগুলোর সমঝোতার আলোচনা শুরু হয়েছে।
ওবামা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন একটা বিরাট সমস্যা। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই সমস্যা মোকাবেলা করছে। আমি মনে করি, আমাদের এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।’
কার্বণ দূষণ এড়াতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করতে ধনী দেশগুলোর প্রতি ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করছে দরিদ্র দেশগুলো। তবে অনেক ক্ষমতাধর দেশ বৈশ্বিক উষ্ণতা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাসের লক্ষ্যে কাজ করছে।