গ্যাস কোম্পানিগুলোর মার্জিনও বাড়ল সরকারের নির্বাহী আদেশে

বিডিনিউজ: 

আইন সংশোধনের পর সরকারের নির্বাহী আদেশে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পর এবার উৎপাদন থেকে শুরু করে বিতরণ পর্যায়ে বিভিন্ন স্তরে মার্জিনও বাড়ান হয়েছে একই প্রক্রিয়ায়।

বৃহস্পতিবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ অপারেশন অনুবিভাগ থেকে পৃথক আদেশে উৎপাদন ও বিতরণ কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশের হার পরিবর্তন করা হয়।

এতদিন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে গণশুনানির মাধ্যমে এই হার নির্ধারণ হত।

গত বছর এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন সংশোধন করে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দামসহ অন্য সব মাশুল নির্ধারণ নির্বাহী আদেশে করার ক্ষমতা নেয় মন্ত্রণালয়।

এরপর নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানের পর এবার উৎপাদন ও বিতরণ কোম্পানিগুলোর মার্জিন হারও বাড়ান হল।

নতুন আদেশ অনুযায়ী, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডের ওয়েলহেড মার্জিন প্রতি ঘনমিটার ১ টাকা, বাপেক্সের ওয়েলহেড মার্জিন প্রতি ঘনমিটার ৪ টাকা এবং সিলেট গ্যাসফিল্ডের মার্জিন প্রতি ঘনমিটার ১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গ্যাসের সঞ্চালন ও বিতরণ চার্জও বাড়ানো হয়েছে। গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির সঞ্চালন চার্জ প্রতি ঘনমিটার ৪৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ টাকা ০২ পয়সা করা হয়েছে।

কোম্পানি ভেদে বিতরণ চার্জ প্রতি ঘনমিটারে ৭ থেকে ১১ পয়সা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

চলতি মাস থেকেই এসব চার্জ কার্যকর হলেও ভোক্তা পর্যায়ে আপাতত এর কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছেনা। কারণ, চার্জ ও মার্জিন পরিবর্তন করার পরও আদেশে খুচরা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্য অপরিবর্তিত রাখার কথা বলা হয়েছে।

আদেশগুলোতে স্বাক্ষর করেছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অপারেশন-১ শাখার কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা কোম্পানিগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়। এর সঙ্গে গ্রাহকের গ্যাসের মূল্যহারের কোনো সম্পর্ক নেই।”

মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিতরণ চার্জ যেটা বাড়ানো হয়েছে, সেটা গ্রাহকের কাছ থেকে পাওয়া গ্যাস বিক্রির অর্থ থেকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর জন্য ওই টাকাটা রাখা হবে।

“এর বাইরে জিটিসিএলের জন্য সঞ্চালন চার্জ ও সংশ্লিষ্ট আরও কিছু কোম্পানির জন্য কিছু চার্জ বাড়ানো হয়েছে। এগুলো কোম্পানিগুলো অভ্যন্তরীণ ভাবে একে অন্যের কাছ থেকে নেবে বিধায় গ্রাহক পর্যায়ে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।”

নতুন আদেশে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির বিতরণ চার্জ ১৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২৬ পয়সা, সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির ১৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২৪ পয়সা, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিতরণ চার্জ ১৩ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২১ পয়সা, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিতরণ চার্জ ১৯ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ পয়সা, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিতরণ চার্জ ২৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩৭ পয়সা, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের বিতরণ চার্জ ১১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৮ পয়সা করা হয়েছে।