প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেছেন, চাহিদা মেটাতে প্রতিবেশী দেশ থেকে গ্যাস আমদানির চিন্তাভাবনা চলছে। এক্ষেত্রে বেসরকারি খাত গ্যাস আমদানি করতে চাইলে সরকার সহযোগিতা করবে।
শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, গ্যাস আমদানির জন্য স্থলভাগে এলএনজি টার্মিনাল করার ব্যবস্থা হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ থেকেও গ্যাস আমদানির কথা ভাবা হচ্ছে। মিয়ানমার বা ভারতের ত্রিপুরা থেকে গ্যাস পাওয়া যেতে পারে। বেসরকারিভাবে কেউ যদি প্রতিবেশী দেশ থেকে গ্যাস আমদানি করতে চায় তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে মাতারবাড়ি থেকে বিদ্যুৎ পাব। গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে আগামী পাঁচ বছরে ১০০টা কূপ করা হবে। এ ব্যাাপারে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, দেশে প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহ ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। এ খাতে যে ভর্তূকি দেয়া হয় অনেকে তার বিরোধিতা করেন। তবে এটা সামাজিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করেই করা হয়। শিল্প খাতে যেটা দেয়া হয় সেটা বিনিয়োগ। এ জন্য দাম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।
উদ্যোক্তাদেরকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প কারখানা নিয়ে আসার অনুরোধ করেন উপদেষ্টা। শিল্পাঞ্চলে যথাযথ বিদ্যুৎ দেয়া হবে।