গরমে অতিষ্ঠ জনজীবনে প্রশান্তির বৃষ্টি

গরমে অতিষ্ঠ জনজীবনে প্রশান্তি ছড়িয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘলা। দুপুর ১টা থেকেই ঝিরঝির বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর বেলা ২টার দিকে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। সন্ধ্যা পর্যন্ত কখনো ভারী, কখনো মাঝারি আবার কখনো বা ঝিরঝির বৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁও, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, ফার্মগেট, প্রেসক্লাব, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, উত্তরাসহ এর আশে পাশের এলাকায় ভারী বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। এর আগে সর্বশেষ গত ১৩ মে বৃষ্টি হয় ঢাকায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীতে ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড
করা হয়েছে। বৃষ্টির পর ঢাকার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। এছাড়া রংপুরে ২৯ মিলিমিটার, দিনাজপুরে ২৬ মিলিমিটার, কক্সবাজারে ২৩, সৈয়দপুরে ৬, কুতুবুদিয়ায় ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ আলম বলেন, রোববারও রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। ফলে আপাতত কয়েকদিন তাপপ্রবাহ থাকবে না।
তীব্র তাপপ্রবাহের পর অবশেষে জ্যৈষ্ঠ মাসের দশম দিন বৃষ্টি দেখে অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজতে শুরু করেন। তবে বৃষ্টির কারণে রাজধানীর বহু এলাকায় পানি জমে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে সমস্যাও তৈরি হয়। ড্রেনেজের অব্যবস্থাপনা এবং রাস্তা সংস্কারের কারণে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তায় পানি জমায় পথচারীরা দুর্ভোগে পড়েন।
আবহাওয়ার পুর্বাভাসে বলা হয়, মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপের কারণে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে মংলা সমুদ্র বন্দরসহ দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত শনিবারও বহাল রাখে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া সাগর ও সুন্দরবনে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে সাগরে নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম, মংলা, পায়রা, কক্সবাজার বন্দর ও উপকূলীয় এলাকায় ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়।