ক্যাপাসিটি চার্জ বাদ দিয়ে মেয়াদ বাড়ানো হলো তিন বিদ্যুৎকেন্দ্রের
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সামিট পাওয়ার লিমিটেডের আশুলিয়া, মাধবদী ও চান্দিনায় তিনটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানো হয়েছে।
চুক্তিতে আগে ক্যাপাসিটি চার্জ ছিল। এবার সেটা রাখা হয়নি। অন্য কোনো নির্ধারিত চার্জও নেই। যে পরিমাণ বিদ্যুৎ নেওয়া হবে সেই পরিমাণ টাকাই পরিশোধ করা হবে।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে মেয়াদ বৃদ্ধির এই প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিসভার সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের বলেন,
প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য ৬ টাকা ০৪ পয়সা হিসাবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। নতুন চুক্তিতে ইউনিটপ্রতি ৭ পয়সা কমানো হয়েছে।
২০০৩ সাল থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে এসেছিল। তিনটি অঞ্চলে মোট ছয়টি ইউনিটে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ১১১ মেগাওয়াট।
গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তিনটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ২০২৩ সালের ২২শে নভেম্বর শেষ হয়ে গিয়েছিল।
ক্রয় কমিটির বৈঠকে ইস্টার্ন রিফাইনারির বাস্তবায়নাধীন এসপিএম বা সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয়ের জন্য টেস্টিং ও কমিশনিং সুষ্ঠুভাবে করার জন্য টাগবোট সংগ্রহ, পাইলটিং এবং আনুষঙ্গিক সেবার জন্য ইপিসি ঠিকাদার চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে সাপ্লিমেন্টারি চুক্তি করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৬২ কোটি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
এদিন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে ৬০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতার তৃতীয় এফএসআরইউ প্রকল্পে ঠিকাদার কোম্পানির নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
আগে চুক্তি হয়েছিল সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে। এখন এর নাম পরিবর্তন করে হবে সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি টু।
সচিব বলেন, এই ধরনের কোম্পানিকে এসপিভি বা স্পেশাল পারপাস ভেহিক্যাল কোম্পানি বলে। এই কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় আগের কোম্পানির লোকজনই থাকছে। নামটা শুধু পরিবর্তন হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সেটাই ক্রয় কমিটিকে অবহিত করা হয়েছে।
আরেকটি প্রস্তাবে সিঙ্গাপুরের কোম্পানি গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে স্বল্প মেয়াদি প্রক্রিয়ায় এলএনজি সরবরাহের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চলতি ২০২৪ ও ২০২৫ সালের জন্য এই চুক্তি করা হবে।
এছাড়া ভারতের ন্যাশনাল কোঅপারিটিভ এক্সপোর্টর্স লিমিটেডের কাছ থেকে টিসিবির মাধ্যমে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।