এশিয়া-প্যাসিফিকে গত বছর এডিবি’র প্রতিশ্রুতি পৌঁছেছে ২৩.৬ বিলিয়ন ডলার, জলবায়ুতে রেকর্ড
ঢাকা, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ (বাসস) :
টেকসই উন্নয়নে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অগ্রগতিতে সহায়তার জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ২০২৩ সালে নিজস্ব সম্পদ থেকে ২৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এর মধ্যে জলবায়ু মোকাবেলায় রেকর্ড পরিমান ৯.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রয়েছে। আজ প্রকাশিত এডিবি’র ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে তাদের আর্থিক ও পরিচালন খাতের তথ্যে এই পরিসংখ্যান তথ্য রয়েছে। জলবায়ু সংকটের অবনতির পাশাপাশি সংঘাত, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও ঋণের বোঝা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এডিবি কীভাবে উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোকে (ডিএমসি) সহায়তা করেছে, তার সারসংক্ষেপ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেন, এডিবি জলবায়ু সমস্যা মোকাবেলায় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বার্ষিক সর্বোচ্চ অর্থায়ন করে, এতদঞ্চলের জলবায়ু ব্যাংক হিসেবে তার পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, ‘অভিযোজন ও প্রশমনে আমাদের বিনিয়োগের ওপর জলবায়ু-সহিষ্ণু কৃষি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং কার্বন অপসারনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
২৩.৬ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে রয়েছে- সরকারি ও বেসরকারি খাতকে দেওয়া ঋণ, অনুদান, ইক্যুইটি বিনিয়োগ, গ্যারান্টি এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা। নিজস্ব সম্পদের সম্পূরক হিসেবে এডিবি শক্তিশালী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সহ-অর্থায়ন হিসেবে অতিরিক্ত ১৬.৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় উচ্চ-মানের জ্বালানি, পরিবহন এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে এডিবি প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। এটি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য বর্ধিত সহায়তার মাধ্যমে এই অঞ্চলের মানব মূলধন আরও বাড়িয়েছে। লিঙ্গ বৈষম্য মোকাবেলা করা ব্যাংকের কাজের মূল ভিত্তি হিসাবে অব্যাহত রয়েছে, ২০২৩ সালে এর প্রায় সমস্ত কার্যক্রম জলবায়ু পরিবর্তনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ লিঙ্গ প্রভাবগুলো প্রশমিত করতে সহায়তাসহ অবশিষ্ট ভারসাম্যহীনতা কমাতে অবদান রেখেছে। প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, কীভাবে এডিবি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) দিকে অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করার সহায়তাকে বিকশিত করতে সাহায্য করতে পারে। ২০২৩ সালে চালু করা গুরুত্বপুর্ন মূলধন ব্যবস্থাপনা সংস্কারগুলো পরবর্তী দশকে নতুন ঋণ দেওয়ার ক্ষমতায় ১০০ বিলিয়ন ডলার উন্মুক্ত করে ব্যাংকের ভবিষ্যতের ঋণ কার্যক্রমকে শক্তিশালী করবে। এডিবি ২০২৩ সালে নতুন যে কার্যক্রম পদ্ধতি চালু করতে শুরু করে, তা তাদের গ্রাহকসেবা উন্নত করার লক্ষ্যে ব্যাংকটির একটি প্রজন্মগত রূপান্তর।
আসাকাওয়া বলেন, ‘আমাদের নতুন কার্যক্রম ধারণাটি এডিবি’কে আমাদের ডিএমসিগুলোকে আরও ভালো, দ্রুত এবং আরও উপযোগী সহায়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় মূল পরিবর্তনগুলো করতে সক্ষম করেছে।’
এডিবি চরম দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিশীল এবং টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এডিবি’র ৬৮ সদস্যের মধ্যে ৪৯ টিই এই অঞ্চলের।