তরল প্রাকৃতিক গ্যাস টার্মিনাল স্থাপনে পাচটি কােম্পানিকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে। ভারতের পেট্রোনেট, যুক্তরাষ্ট্রের শেল ওয়েল কোম্পানি, চীনের হুয়াংকই কন্ট্রাকটিং এন্ড ইঞ্চিনিয়িারিং, বেলজিয়ামের ট্রাকটেবল এবং জাপানের মিটস্যুই।
তরল আকারে সমুদ্রপথে গ্যাস আমদানি করা হবে। পরে তা আবার গ্যাসে রূপান্তর করে পাইপে সরবরাহ করা হবে। তরল গ্যাস আমদানি করতে ভাসমান টার্মিনাল স্থাপন করা হবে। সেই টার্মিনাল স্থাপন করতে প্রাথমিকভাবে এই কোম্পানিগুলোকে বাছাই করা হয়েছে।
প্রতিবছর সাড়ে তিন মিলিয়ন টন তরল গ্যাস এই টার্মিনাল দিয়ে আনা হবে। চট্টগ্রামের রাউজান, শিকলবাহা এবং নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এই গ্যাস দেয়া হবে। সাঙ্গু গ্যাস ক্ষেত্র বল্পব্দ হওয়ার পর চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট বেড়েছে।
এরআগে গত জুন মাসে এষ্ট্রা ওয়েল এবং এক্সিলারেট এনার্জি যৌথভাবে তাদের নিজস্ব অর্থায়নে একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল করবে বলে পেট্রোবাংলার সাথে প্রাথমিক চুক্তি করে। প্রতিদিন এই টার্মিনাল দিয়ে ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস আমদানি হবে। ২০১৬ সালের মধ্যে টার্মিনাল স্থাপন শেষ হওয়ার কথা।
টার্মিনাল ব্যবহারের জন্য ১৫ বছরের চুক্তি করবে পেট্রোবাংলা। এই টার্মিনালের মাধ্যমে তরল গ্যাসকে আবার স্বাভাবিক মাত্রায় এনে পাইপে দেয়া হবে। এই পুনঃগ্যাস করতে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের জন্য ৪৭ সেন্ট করে নেবে।