এক সেকেন্ডও বিদ্যুৎ যাবে না: প্রতিমন্ত্রী

রাজধানির মাদারটেকে চালু হলো উচ্চক্ষমতার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র। ১৩২/৩৩/১১ কেভি জিআইএস এই উচ্চক্ষমতার গ্রীড উপকেন্দ্রটি ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ডিপিডিসি) স্থাপন করল।
মাদারটেক আব্দুল আজিজ স্কুল এন্ড কলেজের সামনে উপকেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে। আজ রোববার এর শুভ সুচনা করেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এসময় ঐ এলাকার সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিপিডিসি চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। স্বাগত বক্তব্য দেন ডিপিডিসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) নজরুল হাসান। বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির চার্লস দ্যা এ্যাফেয়ার্স ফারডিনান্দ ভন ওয়েহি ও কেএফডব্লিউ এর ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য রোল্যান্ড সিলেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
মাদারটেকে এই উপকেন্দ্র স্থাপন করার ফলে মাদারটেক, বাসাবো, গোড়ান, বনশ্রী, কদমতলা, সবুজবাগ, নন্দীপাড়া, শেখেরজায়গা, বাইকদিয়া, আমুৃলিয়া, মানিকদিয়া ও এর আশপাশের এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এলাকার চাহিদামত বিদ্যুৎ দেয়া যাবে। সম্পূর্ন আধুৃনিক হওয়ায় অল্প স্থানে এই উপকেন্দ্র স্থাপন সম্ভব হয়েছে। এটি সয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে। জার্মান উন্নয়ন ব্যাংক কেএফডব্লিউ এবং এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর ঋণে এই উপকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
উপকেন্দ্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকার সকল তার মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া হবে। এই শহরে আর কোন তার ঝুলে থাকবে না। পর্যায়ক্রমে সকল উপকেন্দ্র মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি বলেন, বিদ্যুতে অনেক উন্নতি হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে আর কোন সমস্যা নেই। তবে বিতরণে কিছুটা সমস্যা আছে। বিদ্যুতের তারগুলো মেরামত করতে হবে। তার মেরামত শেষ হলেই আর কোন লোডশেডিং হবে না। আমরা সেই বাংলাদেশে এগিয়ে যাচ্ছি যেখানে আর এক সেকেন্ডের জন্যও বিদ্যুৎ যাবে না।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ অনেক গতিতে এগিয়ে চলেছে। উন্নয়ন সহযোগিরা সেই গতিতে আগাতে পারছে না। এখন বাংলাদেশে কোন সিদ্ধান্ত নিতে বা বাস্তবায়ন করতে দেরি হয়না। সব কিছু দ্রুত হচ্ছে। ২০২১ সালে মধ্য আয়ের এবং ২০৪০ সালে উন্নত দেশ গড়ার সংকল্প নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে।
ফারডিনান্দ ভন ওয়েহি বলেন, বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জার্মানীর সহায়তা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ জ্বালানিখাতে জার্মান আরও বিনিয়োগ করবে। রোল্যান্ড সিলেন বলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন থেকে কেএফডব্লিউ অর্থায়ন করছে। এই অর্থায়ন অব্যাহত থাকবে।