ইউক্রেনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছে রাশিয়া। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে গ্যাস বিল বাবদ পাওনা অর্থ পরিশোধ না করায় কিয়েভের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছে মস্কো।
“ইউক্রেনে গ্যাস সরবরাহ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হয়েছে” বলে সোমবার জানিয়েছেন ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রী ইউরি প্রোদান। রাশিয়ার সবচেয়ে বড় সরকারি গ্যাস কোম্পানি গ্যাজপ্রোম বলেছে, গ্যাস পেতে হলে ইউক্রেনকে পাওনা পরিশোধ করতে হবে। ১৯৫ কোটি ডলার পাওনা পরিশোধের জন্য ইউক্রেনকে সোমবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছিল রাশিয়া। কিয়েভের কাছে গ্যাস বাবদ রাশিয়ার মোট পাওনা ৫২০ কোটি ডলার। ইউক্রেনের মোট গ্যাস চাহিদার শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ পূরণ করে রাশিয়া।
ওদিকে, রাশিয়া থেকে ইউক্রেনের মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া পাইপলাইনে সরবরাহ হওয়া গ্যাসের এক তৃতীয়াংশ পেয়ে থাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো। ইউক্রেনে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধের ফলে ইইউ দেশগুলো গ্যাস সঙ্কটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে গ্যাজপ্রোম ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে।
এদিকে গ্যাস সংযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কোম্পানি ন্যাফটাগ্যাজ সোমবার জানিয়েছে, তারা রাশিয়া থেকে আনা গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এবং এ বাবদে পরিশোধিত অতিরিক্ত দামের ব্যাপারে সমাধানের জন্য স্টকহোমের আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে মামলা করেছে। অন্যদিকে গ্যাজপ্রমও তাদের বিরুদ্ধে ওই আদালতে পাল্টা মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গেছে। গ্যাজপ্রম ন্যাফটাগাজের কাছে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার বকেয়া গ্যাস বিল দাবি করেছে। আর ন্যাফটাগ্যাজের পাল্টা দাবি, ২০১০ সালের পর থেকে তারা বর্ধিত মূল্যে গ্যাসের দাম পরিশোধ করেছে। অতএব তারা আগে রাশিয়ার কাছে পাওনা ছয় বিলিয়ন ডলারের ব্যাপারে সমাধান চায়।
সংবাদসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স, সিনহুয়া